আম্পায়ারের হাস্যকর ভুলে দুইবার জীবন পেলেন ইমাম

এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল না কোনো উত্তেজনা। এমনকি গ্যালারিতে ছিল দর্শকদের খরাও। তবে পাকিস্তান-হংকং ম্যাচে আলোচনার জন্ম দিয়েছে আম্পায়ারের হাস্যকর দুটি ভুল। পাকিস্তানের পক্ষে যাওয়া ওই দুটি সিদ্ধান্তের কারণে ক্রিকেটের রিভিউ পদ্ধতিকে আরো একবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন আম্পায়াররা। ঘটনার সূত্রপাত দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩তম ওভারে। বল করছিলেন হংকংয়ের ইশান খান। তখন ২৩ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হক। ওভারের চতুর্থ বলটি ইমামের প্যাডে লাগতেই সজোরে আবেদন জানায় হংকং।

খালি চোখে মনে হচ্ছিল আউটই হয়েছেন ইমাম। ধারাভাষ্যকার কুমার সাঙ্গাকারাও বলে উঠেছিলেন আউট। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের সেটা মনে হয়নি।

আম্পায়ার আউট না দেয়ায় রিভিউর আবেদন করে হংকং। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত লাগে প্যাডে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতেই ব্যাটসম্যানকে আউট দিলেন না। ফলে ইমাম শুধু বেঁচেই যাননি, হংকংও তাদের রিভিউ হারিয়ে ফেলে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে নাদিম হাসানের বল আবারও আঘাত হানে ইমামের পায়ে। সেবারও এলবিডব্লিউর আবেদন জানায় হংকংয়ের ক্রিকেটাররা। আগেরবারের মতো এবারও ধারাভাষ্যকক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা বলে উঠেন, আউট।

কিন্তু আগের বারের মতো এবারও মাঠের আম্পায়ার হংকংয়ের আবেদনে সাড়া দেয়নি। পরবর্তী সময়ে রিপ্লেতে দেখা যায়, এবারো আউট ছিলেন ইমাম। কিন্তু আম্পায়ারদের হাস্যকর ভুলে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন পেয়ে যান ইনজামাম উল হকের ভাতিজা ইমাম। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। ম্যাচশেষে সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমগুলোতে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনায় মুখর ক্রিকেট সমর্থকরা। কেউ কেউ বলছেন, ভুলে ভরা আম্পায়ারিং ক্রিকেটের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, আম্পায়ারদের আরও ট্রেনিং দেয়া প্রয়োজন। এদিন পাকিস্তানও জয় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।