মালয়েশিয়া প্রিমিয়ার লিগে সেরা খেলোয়াড় ও উইকেট শিকারি যশোরের মঈনুল

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে মালয়েশিয়ার নামটা অতপ্রতভাবে জড়িত। ১৯৯৭ সালে এই মালয়েশিয়াতে ঘটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাঁকবদলের ঘটনা। কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় করে। ২০১৮ সালেও প্রমীলা এশিয়া কাপে মালয়েশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশী টাইগ্রেসরা।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বক্রিকেটে দাপট দেখালোও মালয়েশিয়ার অবস্থান খুবই নাজুক। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটকে শক্তিশালি করার চেষ্টা করছে মালয়েশিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। এজন্য ঘরোয়া লিগের দল গুলোতে একাধিক বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর অনুমতি দিয়েছে ওই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এই বিদেশি কোটায় এবারই প্রথম খেললেন বাংলাদেশি তিন ক্রিকেটার মঈনুল ইসলাম, পিনাক ঘোষ ও ইনামুল মোস্তাগিন।

সম্প্রতি শেষ হওয়া মালয়েশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইউনিভার্সিটি কেবাংশন মালয়েশিয়ার হয়ে খেলেছেন যশোরের ক্রিকেটার মঈনুল ইসলাম। এ দলে খেলেছেন পিনাক ঘোষও। মঈনুল ইসলাম ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালে। তবে ফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারনে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মঈনুলদের। দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটে বলে দাপট দেখানোর ফলস্বরূপ ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন মঈনুল ইসলাম। ৮ ম্যাচের বল হাতে নিয়ে ৩ বার দেখা পেয়েছেন ৫ উইকেটের। ১৩ রানে ৫ উইকেট সর্বোচ্চ সাফল্য। এছাড়া ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে ২৯ গড়ে ২০৩ রান করেছেন। ব্যাট হাতে খেলেছেন সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস।

মালয়েশিয়ান ক্রিকেট তেমন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ না হলেও এ লিগটিতে বিদেশী বহু ক্রিকেটার খেলায় সবার সেরা পারফর্ম করা সহজ কথা ছিলো, এমন কাজটিই করে দেখিয়েছেন যশোরের এই ক্রিকেটার।

মালয়েশিয়া প্রিমিয়ার লিগ থেকে এসে বর্তমানে যশোরের অবস্থান করছেন মঈনুল। যশোরে নিয়মিত অনুশীলন করছেন যশোর ক্রিকেট ক্লাবের সাথে। অনুশীলনের এক ফাঁকে বলেন মালয়েশিয়া প্রিমিয়ার লিগে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রহস্য।

তিনি বলেন, আসলে কোন রহস্য নেই। যেখানেই খেলি না কেন চেষ্টা থাকে সর্বোচ্চ দেয়ার। এই লিগেও সেটাই করেছি। আমার দলের সকল কর্মকর্তারা অনেক আন্তরিক ছিল। যখন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। সালাউদ্দিন স্যার (কোচ কাজী সালাউদ্দিন) আমাকে খেলার সুযোগ করে দেয়।

উল্লেখ্য মইনুল খুলনা বিভাগের হয়ে ৩টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার পাশাপাশি ২৯টি লিষ্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। ২৯ লিস্ট এ ম্যাচে দুই ফিফটিতে ২৬.৬৪ গড়ে ৪৫৩ রান করার পাশাপাশি ৩৭.৩০ গড়ে বল হাতে ২৬ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া তিনটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ৭৫ ও ৪ উইকেট শিকার করেছেন।