আন্দোলন করে কোন দুর্নীতিবাজকে মুক্ত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। কারণ জনগণ দুর্নীতিবাজদের সমর্থন করে না। বুধবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী আয়োজিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের ৫ দিনব্যাপী রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের তৃতীয় ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, আন্দোলন করে কোন দুর্নীতিবাজকে মুক্ত করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ কোন দুর্নীতিবাজকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। এছাড়া তিনি অপরাধ স্বীকার করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে পারেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ইসলামের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য বেশি কাজ করেছেন। মুসলিম উম্মাহর সাড়ে চৌদ্দশত বছরের ইতিহাসে তিনি একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি একযোগে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ করছেন। সারাদেশে ১০১০টি দারুল আরকাম মাদরাসা করেছেন। কওমি সনদের স্বীকৃতির মাধ্যমে কওমি আলেমদের সরকারী চাকুরীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ইসলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম কখনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। এদেশের কওমি ও আলিয়ার মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদে জড়িত হতে পারে না। জঙ্গিদের অনেকে আধুনিক স্কুল ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র। এর পেছনে কাজ করছে জামাতে ইসলাম। জামাত বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। এরা বাংলাদেশ ও ইসলামের শত্রু।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মেহাম্মদ আফজাল বলেন, মওদুদী জামাত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ইসলামকে বিকৃত করে বস্তুর মালিকানা ও রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য নতুন একটি ধর্ম আবিষ্কার করেছে, যার সঙ্গে প্রকৃত ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলামের নামে মানুষকে কলেমা দাওয়াত না দিয়ে রাষ্ট্রকে কলেমার দাওয়াত দিচ্ছে। দাওয়াতি উসূল পরিবর্তন করে ইসলামিক স্টেট ও মুসলিম স্টেট করার চেষ্টা করছে, যার সাথে কুরআন-সুন্নাহর কোন সম্পর্ক নেই।
অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক লুৎফর রহমান সরকার, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর পরিচালক জালাল আহমদ, পরিচালক একেএম ফজলুর রহমানসহ ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চার শতাধিক ইমাম উপস্থিত ছিলেন।