বিএনপির আরেক নাম ‘মানি না মানব না’: কাদের

আইন ও সংবিধানের প্রতি বিএনপির অনাস্থার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আইনের প্রতি বিএনপির অনাস্থা চির জীবন ছিল। তারা আইন মানে না, সংবিধান মানে না। বিএনপির অপর নাম মানি না, মানব না। এছাড়া ‘নালিশ পার্টি’ হিসেবে তো তাদের সুপরিচিতি আছেই।’ বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ওবায়দুল কাদের রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি ‌‘গাঙচিল’ এর শুভ মহরত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে আদালতে একটি রিট হয়েছে এবং তাতে তফসিল ঘোষণা স্থগিত চাওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন যখন আসে তখন অনেক বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, অনেক খেলা জমে ওঠে। এতে নির্বাচনের কোনো ক্ষতি হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে যথারীতি সংবিধানসম্মতভাবে হবে। এক্ষেত্রে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই ।

সরকার কিংবা আদালতের দিকে চেয়ে না থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি। এক মাসের মধ্যেই দেশে বড় পরিবর্তন হবে। বিএনপি নেতা মাওদুদ আহমাদের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কদের বলেন, মিডিয়ায় আমরা দেখেছি তারা বলেছে এক মাসের মধ্যে তারা বাংলাদেশের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। তাদের স্বপ্নের সঙ্গে জনগণের কোনো সংযোগ নেই। জনগণ যদি সাড়া না দেয় তাহলে তারা আন্দোলন করবে কিভাবে? তারা ১০ বছর ধরেই তো আন্দোলনের কথা বলছে। ১০ বছরে ধরে তারা যা পারেনি, দুই মাসে তারা তা পারবেনা। আইনের প্রতি তাদের অনাস্থা চির জীবন ছিল। তারা আইন মানে না, সংবিধান মানে না। বিএনপির অপর নাম মানি না, মানব না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক জাতিসংঘ সফর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি পর্ব শেষ করে তারা জাতিসংঘের কাছে নালিশ করল, কান্নাকাটি করল, আমাদের দেশের জনগণকে ছোট করল, গণতন্ত্রকে অপমান করল। তারা বলল তাদেরকে জাতিসংঘ মহাসচিব আমন্ত্রণ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব তখন ঘানায়। বিএনপি নেতারা জাতিসংঘ অফিসের নিচে যেয়ে বারবার অনুরোধ করে নিচের পর্যায়ের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কেউ তাদের দাওয়াত করেনি, কোন লিখিত আমন্ত্রণপত্র তাদের কাছে ছিল না। লবিস্ট নিয়োগ করে তারা টাকা দিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। তারা তৃতীয় সারির একজন কর্মকর্তার সাক্ষাৎ লাভ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের নামে যারা মিথ্যা আমন্ত্রণের সংবাদ পরিবেশন করে, তাদের বাংলাদেশের মানুষকে ব্ল্যাকমেল করার দিন শেষ হয়ে গেছে।

নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার অক্টোবরের শেষে গঠিত হবে। সরকার ছোট আকারের হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। যেসব সংস্থা, মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত তারা তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার সহযোগিতা করবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু সেনাবাহিনী সরকারের অধীনে থাকবে তাই সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশন সরকারকে অনুরোধ করতে হবে এবং সরকার যদি মনে করে তাহলে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ের নিরিখে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে।

ওবায়দুল কাদের রচিত উপন্যাসের অবলম্বনে নির্মিতব্য ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রের মহরতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।