রোনালদোর লাল কার্ডের দিনে জুভেন্টাসের জয়

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেকে চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টুর্নামেন্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেখলেন লাল কার্ড। অবশ্য প্রায় এক ঘণ্টা এক জন কম নিয়ে খেলেও ভালেন্সিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল। ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস। দুই অর্ধে পেনাল্টি থেকে গোল দুটি করেন মিরালেম পিয়ানিচ। প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে প্রথম সুযোগটি পায় জুভেন্টাস। ফেডেরিকো বার্নারদোস্কির ক্রসে গোল মুখে বল পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মমারিও মানজুকিচ। সপ্তম মিনিটে সামি খেদিরার অবিশ্বাস্য মিসে আবারো হতাশ হতে হয় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের।

ফেডেরিকোর কাছ থেকে গোল মুখে বল পেয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান জার্মান এই মিডফিল্ডার। ২১তম মিনিটে দুবার দলকে বাঁচান ভালেন্সিয়ার ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক নেতো। খুব কাছ থেকে ফেডেরিকোর শট ফেরানোর পর ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ব্লেইস মাতুইদির চেষ্টাও। ৩১তম মিনিটে জেইসন মুরিয়োকে বাজে ট্যাকল করলে লাল কার্ড দেখেন রোনালদো। পরে চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই তারকা ফরোয়ার্ড। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় ১৫৪তম ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো লাল কার্ড দেখলেন তিনি। ম্যাচের এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ভালেন্সিয়া। অবশ্য ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া জুভেন্টাসকে চেপে ধরেছিল তারা। ৩৭তম মিনিটে মিচি বাতশুয়াইয়ের শট ফিরিয়ে অতিথিদের ত্রাতা গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। ৪৩তম মিনিটে দলকে প্রায় এগিয়েই নিচ্ছিলেন জোয়াও কানসেলো। একটি ক্রসে ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি। তবে বল নিজের নিয়ন্ত্রণেই থাকায় আবার শট নেয়ার সুযোগ পান তিনি। এবার গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে বল ফিরে মাঠে। বিপদমুক্ত করার চেষ্টায় ডি-বক্সে কানসেলোকে ফাউল করে বসেন দানিয়েল পারেয়ো। সফল স্পট কিকে ৪৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন পিয়ানিচ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিয়ানিচ। তার কর্নারের সময় ডি-বক্সে লিওনার্দো বোনুচ্চিকে ফাউল করেন মুরিয়ো। ৫১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের এবং নিজের দ্বিতয়ি গোলটি করেন পিয়ানিচ। যোগ করা সময়ে একটি ক্রস বিপদমুক্ত করার চেষ্টায় লাফিয়ে হেড করার সময় গ্যাব্রিয়েল পাউলিস্তার মুখে দানিয়েল রুগানির কনুই লাগলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ভালেন্সিয়া অধিনায়ক। পারেয়োর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ভয়চেখ।