খালেদা জিয়ার বিচারে এত তাড়া কেন, প্রশ্ন বিএনপির

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মামলা নিয়ে বিচার বিভাগের তাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা শেষ করার এত তাড়া কেন? আমরা বুঝতে পারি সরকার খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত শেষ করে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিচার বিভাগের কেন এত তাড়া?’ এ সময় তিনি নিম্ন আদালতকে সরকার করায়ত্ত করে ফেলেছে বলেও অভিযোগ করেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি বন্ধ করে অবিলম্বে কোনও বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। বিচার বিভাগের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের বলতে চাই, শুনানি বন্ধ করে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ ফৌজদারি মামলায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তার উপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনসম্মত। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি চলবে বলে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’

এ সময় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৩ হাজার ৭৩৬টি মামলা দায়ের হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এসব মামলায় ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জনকে। মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৩ হাজার ৬৯০ জন।

নির্বাচনের ৩ মাস আগে এভাবে মামলা দেয়ার নজির পৃথিবীর কোনও দেশে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে স্বৈরতন্ত্র চলছে সেখানেও এমন অবস্থা নেই। সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এত মামলা দিচ্ছে, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী।

২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিএনপি যোগ দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।