ভোটে গোলযোগ করলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ নানকের

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অশুভ শক্তি নৈরাজ্য করলে তাদের হাত-পা ভেঙে দিতে দলীয় নেতোকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

মঙ্গলবার দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত টেকসই ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন শীর্ষক’ তৃণমূল কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ।

নানক বলেন, ‘ঐক্যের নামে কিছু মুখ চেনা অশুভ শক্তি মাঠে নামার চেষ্টা করছে। তারা আন্দোলনে পরাজিত হয়, নির্বাচনের মাঠে পরাজিত হয়। তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরা সবসময় মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভয় পায়। এদের পেছনে কারা আছে তা আমরা জানি।’

‘ভোটে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ড. কামাল হোসেন, দলছুট মাহমুদুর রহমান মান্না, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা এক হয়েছেন জামায়াত-বিএনপি সাথে। তারা চাইছে আগামীতে দেশে কোনো নির্বাচন না হয়, আওয়ামী লীগ যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে।’

বিএনপি-জামায়াতের অতীতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন নানক। বলেন, ওরা গণতন্ত্রের শত্রু, মানবতার শত্রু, ধর্মের শত্রু, কৃষক ও শ্রমিকের শত্রু।

এসময় যারা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই নির্বাচনে দল মনোনয়ন দেবে উল্লেখ করে সব বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারো নৌকায় ভোট চান রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই ইসলামকে সুসংহত করেছে। কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের সনদের কোনো মূল্য পাচ্ছিল না। সেখানে আওয়ামী সরকারই সংসদে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়ে বিল পাশ করেছে। যা যুগান্তকারী।’

‘শুধু তাই নয় সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।অথচ বিএনপি নেতারা এই মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এমপি, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়াসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।