এবার কি আক্ষেপ ঘুচবে?

গত তিনটি এশিয়া কাপের মধ্যে দুটিতেই ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এমনকি গতকাল বুধবার সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে চলমান এ আসরেও ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। তাই আবুধাবির উল্লাস কি ফাইনালেও অক্ষত থাকবে? নাকি তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপে রানার্সআপ হবে বাংলাদেশ? এমন অনেক প্রশ্ন এসেছে ভক্তদের মনে।

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে যখন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে, তখন ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছিল ভক্তরা।

তবে টসে গিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন সাকিবের অনুপস্থিতির কথা। চোটের কারণে সাকিবকে এশিয়া কাপে আর পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফলে অনেকেই ভাবছিলেন, সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাবে কীভাবে। সেটিই করে দেখিয়েছেন মুশফিক-মুস্তাফিজরা।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের। তবে এটি যেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে মুশফিকের ১৪৪ রানের জুটি পথ দেখায় বাংলাদেশকে। স্কোর বোর্ডে ২৩৯ রান জমা হতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে বোলিংয়ে এসে পাকিস্তানকেও একইভাবে বিপদে ফেলেন তাঁরা। মুস্তাফিজ-মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মিতব্যয়ী ওভারগুলোর কাছে হার মেনেছে পাকিস্তান। রুবেলের বলে শোয়েব মালিকের ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মাশরাফি। সেই মোড়কে আবার সোজা করতে চেষ্টা করেছিলেন আসিফ ও ওপেনার ইমাম। তবে শেষ রক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। ৩৭ রানের নিরাপদ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এবার ফাইনালে শেষ পরীক্ষা ভারতের বিপক্ষে। দলে নেই ড্যাশিং ওপেনার তামিম এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মাত্র ২ রানে জয় পায় পাকিস্তান। গত এশিয়া কাপেও ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটের নিরাপদ জয় পায় পাকিস্তান। এবার তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে বাংলাদেশ। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত এবং তাঁদের বিপক্ষে অন্যান্য ফাইনালের ফলাফল ভাবাবে বাংলাদেশকে। খুব সম্প্রতি নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের কাছে চার উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়েছেন মাশরাফিও। মুশফিক তো পাঁজরে চোট নিয়েই খেলছেন। সব মিলে ফাইনালে জয় আনতে হলে তরুণ খেলোয়াড়দের উজাড় করে দিতে হবে মাঠে।

যেভাবে অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে ফাইনালে উঠেছে, ভক্তরা আশা করে এভাবে চমকে দিয়েই এশিয়া সেরার মুকুট পরবে বাংলাদেশ।