যশোরের শার্শায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

যশোরের শার্শা উপজেলার ঘিবা গ্রামে সীমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের টাকার জন্যে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ঘিবা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ও একই উপজেলার পুটখালী গ্রামের সদর আলীর মেয়ে। তবে, পিতৃপক্ষের অভিযোগ যৌতুকের টাকার জন্যে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর দাবি, সংসারিক বিরোধের জেরধরে তার স্ত্রী গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শুক্রবার সকালে জাহাঙ্গীর গ্রামে প্রচার করে তার স্ত্রী গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দিলে বেনাপোল থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। মৃতের পিতার অভিযোগ, তার মেয়ে সীমা গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেনি। স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

মৃতের পিতা সদর আলী জানিয়েছেন, এক বছর আগে শার্শা উপজেলার ঘিবা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার মেয়ে পুটখালী গ্রামের সীমার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কোনো দাবি না থাকলেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্যে প্রায় সময় জাহাঙ্গীর স্ত্রী সীমাকে নির্যাতন করে আসছিলো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে সীমার পরিবার স্বামীর পরিবারকে কমপক্ষে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর আবারও স্ত্রী সীমার বাপের বাড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা যৌতুক আনতে বলে। স্ত্রী টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করে ঘরের আঘার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।

বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, মৃতুতে রহস্য আছে। মৃতের পরিবার হত্যার জোর অভিযোগ তুলেছে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। হত্যার সত্যতা মিললে এটি নিয়োমিত মামলা হিসাবে রেকর্ড গ্রহন করা হবে।