ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন না হলে আন্দোলনে যাবে বিএফইউজে

জাতীয় সংসদে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে মনে করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। সংগঠনের নেতারা বলেন, এসব ধারা অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। সরকার এই আইন সংশোধন না করলে প্রয়োজনে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা এমন মন্তব্য করেন।

বৈঠকে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব মো. আবুয়াল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজে সহ-সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গ্যালমান শফি। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন এবং পেশাগত দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ওপর এর অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারই তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন গঠন করেছে’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে ডিজিটাল আপদ-বিপদ-উৎপাত থেকে জনগণ ও দেশকে রক্ষার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিকল্প নেই। কারও বিরুদ্ধে ইচ্ছামতো মিথ্যা অপবাদ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো জঘন্য অপরাধ বা ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কিছু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজের শাস্তির বিধান থাকতেই হবে। এজন্যই এ আইন, গণমাধ্যম বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনও আইন নয়। তারপরও এ বিষয়ে ভিন্নমত বা আপত্তি-উদ্বেগ থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই তা নিষ্পত্তির জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে আমাদের আপত্তিগুলো জানিয়ে এসেছি। লিখিতভাবেও জানাবো। আমরা তথ্যমন্ত্রীকে পরিষ্কারভাবে বলেছি, স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে, এমন কোনও আইন সাংবাদিকরা মেনে নেবে না। এ সব আইন সংশোধন করতে হবে। না করলে সাংবাদিকরা বসে থাকবে না। তারা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য প্রয়োজন হলে রাজপথে কঠিন থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।