বেনাপোলে পৃথক অভিযানে স্বর্ণ, টাকা ও ম্যাগাজিনসহ ৩ জন আটক

বেনাপোলে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ ও কাস্টমসের পৃথক অভিযানে স্বর্ণ, হুন্ডির টাকা ও ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার ম্যাগাজিনসহ মেহেদী (১৯), ফিরোজ (৩০) ও বাবলু নামে তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে।

রোববার সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অভিযানে এসব পন্য ও টাকাসহ তিনজন আটক হয়।

আটককৃতরা হলো – স্বর্ণ পাচারকারী মোঃ মেহেদী ঢাকা জেলার ডেমরা থানার নেকবার আলীর ছেলে, বই পাচারকারী ফিরোজ আলম শরিয়তপুর জেলার ডামুরডা থানার জসিম উদ্দিনের ছেলে ও টাকা পাচারকারী বাবলুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে।

বেনাপোল কস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যেমে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের যাত্রী টার্মিনাল থেকে পায়ুপথে স্বর্ণ পাচারকারী মেহেদীকে আটক করা হয়। পরে তাকে কাস্টমস ভবনের বাথরুমে নিয়ে পায়ু পথ থেকে ৩ টি (৩ শ’ গ্রাম) স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। সে ভারতে স্বর্ণ পাচারের জন্য এ পথে যাচ্ছিল। যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১৫ লাখ টাকা।

এর আগে ভারত থেকে ম্যাগাজিনসহ ফিরোজ নামে একজন পাসপোর্টযাত্রী ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা বাদে বাংলাদেশে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে তাকে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে থেকে আটক করা হয়। তার ল্যাগেজ তল্লাশি করে ৪৭০ পিছ ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।

অপরদিকে বেনাপোল পুটখালী ২১ বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার লাভলু জানান, গোপন সংবাদে জানাযায় ভারত থেকে একজন পাচারকারী বিপুল অংকের টাকা নিয়ে বেনাপোলে যাচ্ছে। তখন পুটখালী সীমান্তের চেকপোষ্ট গুলি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করা হয়। এবং সন্দেহ ভাজনদের তল্লাশি করা হয়। এ সময় বটতলা চেকপোষ্ট দিয়ে বাবলু বেনাপোল যাওয়ার সময় তাকে তল্লাশি করে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা ৫০ লাখ হুন্ডির টাকা উদ্ধার করা হয়।

ভারত থেকে আনা ম্যাগাজিন পাচারকারী ফিরোজ বলেন, সে প্রতিমাসে এ পথে ম্যাগাজিন নিয়ে বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। সে আরো জানায় ট্যাক্স দিয়ে এসব ম্যাগাজিন নিয়ে বিক্রি করলে কোন লাভ থাকে না তাই সে কৌশল অবলম্বন করে নিয়ে থাকে।

বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, আটককৃতদের স্বর্ন ও পত্রিকা পাচারের অভিযোগে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুটখালী ক্যাম্পের সুবেদার লাভলু বলেন, আটককৃতকে হুন্ডি পাচারের মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার এ এসআই শাহীন ফরহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।