ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ

বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও নজিরবিহীনভাবে প্রথমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। সেই রঞ্জন গগৈই ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সত্য নিষ্ঠার শপথ নিয়েই দায়িত্ব শুরু করছেন এই বিচারপতি।

বিচারপতি গগৈ ২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হওয়া তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা। দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন গগৈ। মোট ১৩ মাস সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকবেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তার মেয়াদ শেষ হবে।

দীপক মিশ্রর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সিনিয়রিটির বিচারে রঞ্জন গগৈয়েরই দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরাধিকার হিসেবে দীপক মিশ্র একজন বিদ্রোহীকে বেছে নেবেন কিনা তা নিয়ে সন্দীহান ছিলেন অনেকেই। যদিও সবাইকে চমকে দিয়ে গগৈকেই উত্তরাধিকারি ঘোষণা করেন বিচারপতি মিশ্র। তার সুপারিশ মেনেই গগৈকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, সেই দলে ছিলেন গগৈও। ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দেশের প্রবীণ চার বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতি হলেন জে চেলামেশ্বর, কুরিয়েন জোশেফ, রঞ্জন গগৈ এবং মদন লোকুর।

দেশের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তারা সরব হন। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, তিনি মামলা বণ্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করছেন এবং আদালতের মধ্যেই নিয়ামানুবর্তিতা মেনে চলছেন না।

সে খোদ বিচারপতিদের মুখে গণতন্ত্র বাঁচানোর আর্তি শুনে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। এর পরেই প্রধান বিচারপতির পদ হারান দীপক মিশ্র।