ইরাকে সুন্দরী নারীদের হত্যার হুমকি!

সম্প্রতি, ইরাকের সাবেক ‘মিস ইরাক’ খেতাব জয়ী তারকাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর কিছুদিন আগেই দেশটির একজন মডেলকে হত্যা করা হয়। মডেল বা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া নারীদেরকেই কেন টার্গেট করা হচ্ছে, এ নিয়ে দেশটিতে চলছে তুমুল আলোচনা।

বিবিসির বরাত দিয়ে জানা যায়, সীমা কাশেম লাইভ ব্রডকাস্টে এসে বলেন, হত্যাকারীদের পরবর্তী টার্গেট হিসেবে তাকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিগত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে টারা ফারেস নামের একজন মডেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিশাল ফ্যান ফলোয়ার ছিল। ইন্সটাগ্রামে ২৮ লক্ষ ফলোয়ারধারী টারা ফারেস ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন দেশটিতে।

টারা ফরেসের ঘটনার ঠিক দুই দিন আগেই বাসরা শহরে একজন নারী হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্ট সৌদ আল আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এমনকি চলতি বছরের আগস্ট মাসে বাগদাদে দুইটি বিউটি পার্লারের দুইজন নারী মালিককে তাদের নিজেদের বাড়িয়ে হত্যা হতে হয়।

এ সকল হত্যাকান্ড গুলো পর®পরের সঙ্গে স¤পর্কযুক্ত কি না সে বিষয়ে এখনও কোন প্রমাণ নি মিললেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেন, তার মতে হত্যাকা-গুলো সুপরিকল্পিত এবং তিনি ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে কিছুদিন আগেই মিস ফারেসের মৃত্যু হয় আততায়ীদের হাতে। নিরাপত্তাজনিত কারণে গত তিন বছর যাবত বাগদাদে বসবাস করা ২২বছর বয়সী মিস ফারেসকে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করে।

ইন্সটাগ্রামে ২৭ লক্ষ ফলোয়ারধারী মিস কাসেম তার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ইরাকে যেসব নারীরা নিজেদের চেষ্টায় একটা সুনাম কিংবা পরিচিতি তৈরি করেছে তাদেরকে ‘মুরগির মত জবাই’ করা হচ্ছে। তিনি মিস ফারেসকে ‘শহীদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ইরাকের হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ইরাকি আল আমাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা হানা এড্ওয়ার বলেন, যেসকল নারীরা ‘পাবলিক ফিগার’ শুধুমাত্র তাদেরকে আঘাত করার মানে হলো যাতে অন্যান্য নারীদের বাধ্য হয়ে ঘরে বন্দী হয়ে থাকতে হয়।