কবরে আইফোন!

কবরের স্মৃতি ফলকের পরিবর্তে রাখা হয়েছে আইফোন। দেখতে পেল্লাই সাইজের। না যন্ত্রের তৈরি আইফোন নয়। বিরল আগ্নেয়গিরিজাত ধাতব পদার্থ বাসল্ট দিয়ে তৈরি। স্বাভাবিকভাবেই চকচক করছে অনেক দূর থেকেই। কিন্তু কবরস্থানের মতো জায়গায় ৫ ফুট উঁচু আইফোন কী করে এল? তাছাড়া এত খরচ করে চকচকে আইফোন তৈরি করার প্রয়োজনীয়তাই বা কী। প্রথমে অনেকে মনে করেছিলেন। এটা বিজ্ঞাপনী চমক দেওয়ার গিমিক। কবরস্থানে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়াসের নিন্দাও করেছেন অনেকে। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য।

না কোনও বিজ্ঞাপনী চমক নয়। আইফোনটি বানানো হয়েছিল বছর পঁচিশের এক তরুণীর স্মৃতিতে। রীতা শমিভা নামের বছর পঁচিশের ওই তরুণী থাকতেন রাশিয়ার উফা শহরে।

তার কবরের সামনে ‘গ্রেভ-স্টোন’ হিসেবে আইফোন আকৃতির স্মৃতিসৌধটি তৈরি। জানা গেছে রীতা শামিভা নামের তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তারপর থেকেই তার বাবা রাইস শামিভা মেয়ের স্মৃতিতে এমন একটি সৌধ বানানোর পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু বিরল বাসল্ট দিয়ে তৈরি করার খরচ ছিল প্রচুর। তাই প্রায় দু’বছর সময় লেগে যায় টাকা জমাতে। অবশেষে এবছর জানুয়ারিতে মেয়ের মৃত্যুর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে শুরু করেন সৌধ তৈরি করা। সম্প্রতি আইফোন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।

প্রশ্ন হল, হঠাৎ মেয়ের কবরের কাছে আইফোন তৈরির সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া। হ্যাঁ, যেমনটা ভাবছেন তেমনটাই। মেয়েটি অত্যন্ত মোবাইল-আসক্ত ছিল। বলা ভাল, আইফোন-আসক্ত ছিল। নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসত তার আইফোনটিকে। বেড়াতেও ভালবাসত রীতা। সেলফিপ্রেমী রীতাকে শ্রদ্ধা জানাতে তাই আইফোনের সৌধই সবচেয়ে সহজ উপায় হবে বলে মনে করে তার পরিবার।

রীতা শমিভা নামের বছর পঁচিশের ওই তরুণী থাকতেন রাশিয়ার উফা শহরে। কবরের সামনে ‘গ্রেভ-স্টোন’ হিসেবে আইফোন আকৃতির স্মৃতিসৌধটি তৈরি।