অভয়নগরে বিএনপি-জামাতের ১৬৪ জনের নামে মামলা : আটক ১৪

যশোরের অভয়নগরে বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জামাত-বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১শ’ ৬৪ জন এবং অজ্ঞাত নামা আরও ৪’শ/৫’শ’ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর অভয়নগর থানায় এ মামলা দায়ের হয়।

মামলায় আটক ১৪ জন আসামীকে বুধবার গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে চেঙ্গুটিয়া বাজারে অবস্থিত ওয়ার্ড যুবলীগের একটি অফিন ভাংচুর হয়। জামায়াত-বিএনপির জোটের সদস্যরা রাষ্ট্র বিরোধী সহিংস কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য গোপন মিটিং শেষে এ হামলা করে। তারা যুবলীগের অফিস ভাংচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা ৪টি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। এঘটনার পর এস আই জিয়াঊর রহমান বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করে।

মামলায় অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা বিএনপির সদস্য নুরল হক মোল্লা, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইমাদ আলী গাজী, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্লা, ছাত্রদল উপজেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারন সম্পাদক আছাদুজ্জামান জনি, মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মিন্টু, শংকর পাশা গ্রামের এ্যাটভোকেট শহীদুল ইসলাম সহ জামাত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১’শ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪’শ/৫’শ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এ মামলায় গত বুধবার ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ১শ’ ৬৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৪’শ থেকে ৫শ’ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অভয়নগর থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং- ২৯। উক্ত মামলার ১৪ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।