অভয়নগরে মৎস্য ঘেরে দুর্গন্ধযুক্ত পোল্ট্রি লিটার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

যশোরের অভয়নগরে প্রশাসনের নিষেধ্যাাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু মাছ চাষী তাদের খামারে দুর্গন্ধযুক্ত তরল পোল্ট্রি লিটার ব্যবহার করছে। এসব পোল্ট্রি লিটারের দুর্গন্ধে এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধোপাদী দক্ষিণ পাড়া , সুন্দলী, চলিশিয়া, ডুমুরতলা, পায়রা, মশিয়াটি এলাকায় সড়কের দুপাশে পঁচিশ-ত্রিশটি মৎস্য ঘের মালিক এ সব দুর্গন্ধযুক্ত পোল্ট্রি লিটার ব্যবহার করছে। মণিরামপুর-নওয়াপাড়া ব্যাস্ততম সড়কের দুপাশে এ সব অপদ্রব্য ব্যবহার কারায় জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। অনেকে যাত্রী বলেছেন গন্ধে বমি আসে।

ধোপাদী দক্ষিণপাড়ার জহির মোল্যা জানান, আমার বাড়ির পাশে অনেক মাছের ঘের রয়েছে। ওরা প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধযুক্ত পোল্ট্রি লিটার ব্যবহার করছে। পোল্ট্রি লিটরের দুর্গন্ধে বমি আসে। অনেকের শ্বাসকষ্ট রোগ হয়েছে। পোল্ট্রির বিষ্টা দেওয়া বন্ধ করতে বললে ওরা আমাকে মারতে ধরতে আসে। অনেক বিদ্যালয়ের পাশে ঘের রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, পোল্ট্রি লিটারের গন্ধে আমাদের স্কুলে ক্লাস করেতে কষ্ট হয়। গন্ধের কারনে কারো কারো বমিও হয়।

ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, আমরা অনেকবার ঘের মালিকদের পোল্ট্রি লিটার দিতে নিষেধ করেছি, তারা আমাদের কথা শোনে না। সারাক্ষণ এইভাবে গন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীসহ আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ব। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

এলাকাবাসী জানায়, গত বছর একবার ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কিছু ঘের মালিকদের জরিমানা করেছিল। কিছুদিন পোল্ট্রি লিটার ঘেরে দেওয়া বন্ধ ছিল। এবার তারা আবারও সোচ্চার হয়েছে। এই সকল অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবি করেছেন তারা।