মওদুদ আহমদের গ্রামের বাড়িতে হামলা

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গ্রামের বাড়িতে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। এ সময় বাড়ির দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে, এ সময় মওদুদ আহমদ বাড়িতে ছিলেন না।

বিএনপির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৯টায় ৩০/৪০ জনের একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মওদুদ আহমদের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে বাড়ির সামনের ফোরকানিয়া মাদরাসার দরজা, জানালা, ব্যানার, মওদুদ আহমদের ছবি যুক্ত ফেস্টুন ভাঙচুর করে। এরপর তারা মওদুদ আহমদের পুরান বাড়িতে গিয়ে বাড়ির বাসিন্দা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার হোসেন পাভেল ও ছাত্রদল নেতা এরশাদ আহমদকে খুঁজতে থাকে। দুর্বৃত্তদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাভেল ও এরশাদ বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির দরজা, জানালা আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে।

পরে বাড়ির পাশে মুন্সি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মওদুদ আহমদকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এ হামলা চালিয়ে আমার বাড়ির সামনে মক্তবের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছে। এতে অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় আমি ও আমার দলের নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি ও গ্রেপ্তার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আমি যেন আমার নিজ বাড়িতে না আসি।

এ প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদল বলেন, মওদুদ সাহেবের বাড়িতে রোববার রাতে কেউ ছিল না, কেউ থাকলে হয়তো বা অন্য কেউ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা চালাত। এটা একটি কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা ঘটনা। বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার ও যুবদল নেতা আবদুল মতিন লিটন জানান, সন্ত্রাসীরা স্যারের বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির সামনে মক্তব, পুরান বাড়ি ও মুন্সি বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। মওদুদ আহমদের বাড়িতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।