১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগের অভিযোগ

জাল-জালিয়াতির ও ভূয়া কাগজপত্র’র মাধ্যমে যশোরের মণিরামপুরের নেংগুড়াহাট দারুল উলুম ফাজিল (বি এ) মাদ্রাসায় ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অযোগ্য-অদক্ষ লোককে নিয়োগ দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসারা অধ্যক্ষের রুমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মো. শামসুজ্জামান। এলাকাবাসীর আপত্তি সত্বেও তিনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে আতাত করে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন বলে অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টম্বর নেংগুড়াহাট দারুল উলুম ফাজিল (বি এ) মাদ্রাসায় জন্য একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগের জন্য দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ৫ জুন ছিল আবেদনের শেষ তারিখ। এতে ১৯জন আবেদন করেন। এরমধ্যে একটি আবেদন বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ১২জনকে কার্ড দেওয়া হয়। বাকী ৬জনকে কোন কিছু না জানিয়েই এই পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য কার্ড না পাওয়া জানান, সকল যোগ্যতা থাকা সত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তারা জানান, শফিকুল ইসলাম ২৫ মে আবেদন করেন। কিন্তু তার গ্রন্থগারিকের সনদ বের হয়েছে ৫ জুন। যার সনদ ৫জুন বের হয়, তিনি কিভাবে এই সনদে আবেদন করেন তার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিভাবে ৫ জুন আবেদনপত্র গ্রহণের তারিখ দেখাচ্ছেন। ওই সনদের ফটোকপিতে সত্যায়িত করেছেন কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আব্দুল মজিদ। তিনি সনদের সত্যায়িত করেছেন ৬ জুন। আর এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে সম্পন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শফিকুল ইসলামের বাকী সনদগুলো ৩০ মে সত্যায়িত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে শফিকুল ইসলামের মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিকাল চারটার সময় যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব বলেন, আমি এখন ঘুমাচ্ছি। আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মো. শামসুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা কারো নিয়োগ দিতে পারি না। আমরা সুপারিশ করেছি। সনদপত্রের অসঙ্গিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখবো। তারপর এ বিষয়ে কথা বলবো।