‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন আগেই বাতিল হওয়া উচিত ছিল’

‘২১ আগস্ট মামলার রায়ের পরে বিএনপির আর নিবন্ধন থাকতে পারে না’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডকেই সমর্থন করি না। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রমনার বটমূলে হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? এসব ঘটনার জন্যে তাহলে অনেক আগেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত ছিল।’

শনিবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।

শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা ঘোষণা হবে জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য ছাড়া এ সরকারকে সরানো সম্ভব নয়। দেশের মানুষ নীতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে যে বেগম জিয়াকে ছাড়া অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না এবং জাতীয় ঐক্য ছাড়া জনগণকে এ স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা দেয়ার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হলো আবারও বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং বর্তমানে যারা বিনা ভোটে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা। মূলত সরকারের অলিখিত বাকশালকে প্রতিষ্ঠা করতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ভুতুড়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’

বর্তমান সরকারের কাছে কেউ ন্যায়বিচার আশা করে না মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার বইয়ে লিখেছেন যে দেশে আমি প্রধান বিচারপতি হয়ে বিচার পাইনি সে দেশে সাধারণ মানুষ বিচার পাবে সেটা আমি আশা করি না। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিষয়েও তাই হয়েছে।’

বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না জানিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের মধ্যে আওয়াজ উঠেছে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।