খালেদা জিয়াকে পুনরায় জামিন আবেদন জমার নির্দেশ হাইকোর্টের

কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতার আইনে করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন চেয়ে পুনরায় সম্পূরক আবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৪ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

এর আগে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘কুমিল্লার আদালতে জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা যখন আপিল আবেদন করেন, তখন তারা অধস্তন আদালতের আদেশের সার্টিফায়েড কপি সংযুক্ত করেননি। জামিন চেয়ে আপিল আবেদনের সময়ই অধস্তন আদালতের সার্টিফায়েড কপি সংযুক্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা দ্বিতীয় দিন ওই কপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তাই আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাখিল হয়নি বলে আপত্তি রয়েছে।’

পরে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীকে ডেকে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে পুনরায় সম্পূরক আপিল আবেদন সোমবারের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে এ মামলায় জামিন চাইলে কুমিল্লার বিচারিক আদালত গত ১৩ সেপ্টেম্বর তা খারিজ করে দেন। পরে সেই আদেশের বিরুদ্ধে গত ২ অক্টোবর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।