আইয়ুব বাচ্চুর জন্য কাঁদছেন জেমস

দুই তারকার সম্পর্ক নিয়ে অনেক গল্প ছড়িয়েছে শোবিজে। কেউ কেউ বলতেন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারা। কেউ কেউ বলতেন, তাদের ভেতরকার সম্পর্ক ভালো নয়। এমনি অনেক কথার ভিড়ে দুই তারকা কখনোই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মন্দ কিছু বলেননি।

সবসময়ই একে অপরের গানকে বাহবা দিয়েছেন, সম্মান করেছেন একে অপরের জনপ্রিয়তাকে। বলছি সদ্য প্রয়াত এলআরবি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু ও নগর বাউল খ্যাত তারকা জেমস।

গুজব-গল্প সবকিছুই ম্লান হয়ে যায় মৃত্যুর কাছে। মৃত্যু সবকিছু ভুলিয়ে সবাইকে মিলিয়ে দেয় হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। সেই প্রমাণ আবারও দিলেন উপমহাদেশের নন্দিত রকস্টার জেমস। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, বাচ্চুর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান জেমস। প্রিয় বন্ধুর মতোই জানতেন তিনি বাচ্চুকে। তার চলে যাওয়া বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে জেমসকে। তিনি কাঁদছেন বাচ্চুর স্মৃতি বুকে নিয়ে।

শোনা যাচ্ছিলো আইয়ুব বাচ্চুকে শেষবারের মতো দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে আসবেন জেমস। সেইজন্য সাংবাদিকরাসহ অপেক্ষা করছেন অনেকেই। কিন্তু নিশ্চিত হওয়া গেল তিনি ওদিকে যাবেন না। বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত উন্নয়ন মেলার এক কনসার্টে অংশ নিতে আজ সকাল বেলাতেই বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন জেমস। পথেই তিনি বাচ্চুর মৃত্যুর খবরটি পান।

না আসলেও জেমস বন্ধু আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করবেন তার কনসার্টে। আজকের কনসার্টে আইয়ুব বাচ্চুর সম্মানে গান গাইবেন জেমস। তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলা রক সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৮০ সালের শুরু থেকেই তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা। সুখে-দুঃখে, মান-অভিমানে পথ চলেছি আমরা। প্রায় চল্লিশ বছর একসঙ্গে ছিলাম। আজ সকালবেলা যখন শুনলাম উনি নেই এই কথাটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাষায় বলে প্রকাশ করার মতো নয়। আপনের চেয়ে আপন বলে যদি কিছু থাকে বাচ্চু ভাই আমার সেটাই ছিলো।’

জেমস আরও বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুর এই প্রস্থান বাংলা রক মিউজিকের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি আইয়ুব বাচ্চুর বিদেহি আত্মার প্রার্থনা করি। আপনারাও সবাই দোয়া করবেন বাচ্চু ভাইয়ের জন্য।’

প্রসঙ্গত, ব্যান্ডের সোনালী দিনে অনেক ডুয়েট অ্যালবামে একসঙ্গে গান করেছেন আইয়ুব বাচ্চু ও জেমস। অনেক কনসার্টেও দুজনকে একসঙ্গে গাইতে দেখা গেছে বহুবার।