‘যারা পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারাই নির্বাচনে সেনাবাহিনী চাইছেন’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যারা পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারাই নির্বাচনে সেনাবাহিনী চাইছেন। আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করে না বলেই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন মনে করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি শতভাগ আস্থাশীল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা মেরি এন্ডারশনে নৌ-পুলিশের আয়োজনে ইউএনডিসির অর্থায়নে চারটি পেট্রলবোট এবং জেটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। বিদেশ থেকে মাদক এসে সারাদেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। মাদকের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিদেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশের পথ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। মাদকের অবক্ষয় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মাদক নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এখনো সময় আছে তওবা করে মাদক ব্যবসা ও সেবন বন্ধ করে দেন। না হয় কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না। মাদক ব্যবসায়ী যে যত বড় শক্তিশালী হন না কেন কোনোভাবে ছাড় পাবেন না। ৭০ হাত মাটির নিচে থাকলেও খুঁজে বের করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই আমরা ছাড় দেই না। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ যেই দলেরই হোক তাদের চেহারা দেখি না। নৌপথে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনই যথেষ্ট। নৌপথে চাঁদাবাজি রোধে নৌ-পুলিশের ডিআইজিকে বলছি- আপনি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

নৌ-পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, পুলিশের ডিআইজি মহসীন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহাবুব হাসান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি রুহুল আমিন, নৌ- পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হারুন অর রশিদ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রমুখ।