চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

সরকারি চাকরিতে ঢোকার বসয়সীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

তাদের এই আন্দোলনের কারণে শাহবাগ হয়ে ফার্মগেইট, মৎস্যভবন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও টিএসসিমুখী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে, শাহবাগ পুলিশ বক্স ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসংলগ্ন বাইপাস দিয়ে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।

শনিবার বেলা ১২টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন প্রায় দুইশ আন্দোলনকারী।

চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়ানোর দাবিতে ‘পঁয়ত্রিশ পঁয়ত্রিশ’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ মোড়ে এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন সমাবেশে বলেন, “বর্তমান রাষ্ট্রপতি যখন স্পিকার ছিলেন, তখন ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে যুব সমাজ আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু এর কোনো হেস্তনেস্ত এখনও হয় নাই।”

সমাবেশে অংশ নেওয়া অরাফাত হোসেন নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “সেশন জটের অজুহাত দেখিতে ২৬ লাখ উচ্চশিক্ষিত তরুণের এই দাবি আজও মেনে নেওয়া হয় নাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের এই যৌক্তিক দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।”

তিনি বলেন, “চাকরির বয়স বাড়ানো না হলে তা দেশের উন্নয়নের পথে বাধা হতে পারে। বিশ্বের প্রায় ১০৭টি দেশে চাকরির বয়সের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আমরা জেনেছি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপসহ এসব দেশে চাকরির বয়স হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫৯। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্যে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫। সেক্ষেত্রে আমাদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক।”

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরুর করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত ছয় বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামের এই সংগঠন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত জুনে এক সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করে।

এরপর সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত অগাস্টে ইঙ্গিত দেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে বয়স সীমা বাড়ছে না।

সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদীয়া সুলতানা উপস্থিত আছেন।