সরকার ভয় পেয়েছে, সভা করতে দেয় না : ফখরুল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চট্টগ্রামের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার ভয় পেয়েছে। সভা করতে দেয় না। রাস্তার অর্ধেক দিয়েছে। লালদীঘি মাঠ চেয়ে পাইনি। পুলিশ ২৫টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। রাস্তায় অনুমতি দিয়েছে। ফলে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।’

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরির নাসিমন ভবনের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

১৪ শর্তে সিলেটে সমাবেশ হওয়ার পর চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে সেই ময়দানে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে ২৫ শর্তে নাসিমন ভবন ও বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।

আজ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এ বিষয়েই কথা বলেন।

এ সময় সাত দফা দাবি আদায় না করে ফিরবেন না বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারো কাছে মাথা নত করব না, পরাজিত হব না। গায়ের জোরে বন্দুকের নলের মুখে কেউ কোনোদিন টিকে থাকতে পারেনি, পারবে না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই চলছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) আটক করে নিয়ে গেলেন, এরপর কারাগারে পাঠালেন। এত ভয় কেন? আপনাদের ভয়ের কারণ, আপনারা জানেন যে, যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় আপনাদের ভাঙা নৌকায় জনগণ আর উঠবে না। আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জনগণকে বাধা দিয়ে বিশ্বের কোনো সরকার ঠিকে থাকতে পারেনি। বাংলাদেশেও পারবে না। এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ আর ভাঙায় নৌকায় উঠবে না। গত ১০ বছরে আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। অনেক মা-বাবা তাদের সন্তান হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কারাগারে বন্দী।’

বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দুপুরে নগরীর কাজীর দেউরি নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশটি শুরু হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর প্রমুখ।