পিএসজি ছাড়তে উদগ্রীব নেইমার। নেপথ্যে নানা কারণ গোচরীভূত হচ্ছে। প্যারিসের জীবন ভালো লাগছে না, বর্তমান সতীর্থদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না, ফ্রেঞ্চ লিগের খেলার মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি- এ রকম কত কী।
তবে মূল কারণ এসবের একটিও নয়। কিলিয়ান এমবাপ্পের সাফল্য ও জনপ্রিয়তার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ক্লাব ছাড়তে মরিয়া ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার।
ছাড়তে চাইলেও পিএসজিতে নেইমারের আগমন ঘটে রাজপুত্রের মতো। গেল বছরের আগস্টে ট্রান্সফার ফির (২২২ মিলিয়ন ইউরো) বিশ্বরেকর্ড গড়ে পার্ক দেস প্রিন্সেসে নোঙর ভেড়ান তিনি। পরে ক্লাব যাত্রায়ও সফল হন। গেল মৌসুমে দ্য পারিসিয়ানদের জিতিয়েছেন ট্রেবল। এবারও লিগে পয়েন্ট টেবিলে দলকে শীর্ষে রেখেছেন।
তবে তার ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জনে ভাটা পড়েনি। বরং ক্ষণে ক্ষণে আরও জোয়ার উঠেছে। এখন তো মনে হচ্ছে উপচে পড়ছে।
পিএসজি ছাড়বেনই নেইমার। তাও আবার আসন্ন শীতকালীন দলবদল মৌসুমেই। জানুয়ারিতে সরগরম হয়ে উঠবে ইউরোপিয়ান দলবদলের মার্কেট। সেই সময়ই ক্লাব ছাড়বেন তিনি। বিভিন্ন ক্লাব তাকে পেতে মরিয়া হলেও এ ফুটবলার পাখির চোখ করে আছেন বার্সায়। সাবেক দলে ফের ফিরতে চান সাম্বা তারকা।
এ নিয়ে অনেকে বলছেন, বার্সায় কাটানো সুখের সময়টা ভুলতে পারছেন না নেইমার। সেই লোভেই কাতালানদের ডেরায় ভিড়তে মুখিয়ে তিনি।
কিন্তু না! এক বনে দুই রাজা থাকতে পারে না। দুজনের টিকে থাকার জন্যই তা হুমকি। হয় একজনকে সরাতে হবে, নয়তো সরতে হবে। ব্রাজিলীয় তারকা বেছে নিচ্ছেন দ্বিতীয় পথটাই।
রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে দারুণ সময় কাটছে এমবাপ্পের। বিশ্বমঞ্চে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর থেকেই আগুনে ফর্মে তিনি। পিএসজিতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। নেইমার গোল না পেলেও পাচ্ছেন ১৯ বছরের বিস্ময়।
চলতি মৌসুমে সাত ম্যাচে ১০ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন এমবাপ্পে। সেখানে এ সময়ে ৯ ম্যাচে ৮ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট এসেছে নেইমারের পা থেকে। স্বাভাবিকভাবেই পিএসজির প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সজুড়ে ফরাসি ফুটবলারের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে নেইমারের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী এ তরুণ। তার পারফরম্যান্সে ঈর্ষাণ্বিত হয়েই পিএসজি ছাড়তে মরিয়া ব্রাজিল প্রিন্স।