একদিনের ক্রিকেটে দারুণ গতিতে চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। টাইগারদের বর্তমান পারফর্মে দেশের কোটি কোটি মানুষ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। কোটি ভক্তের মত দেশের অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও বিশ্বকাপ জিততে আশাবাদী।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি আর কয়েক মাশ। আগামী বছরের মে মাসে ইংল্যান্ডে বসবে এবারের আসর। আর নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘আসলে বাংলাদেশের সব মানুষ আশা করছে বাংলাদেশ এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। এটা তো আর এমনে এমনে করছে না। এর আগে তো কখনো বলেনি যে আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি। এবার বলছে কারণ তারাও এই জিনিসটা বিশ্বাস করে। তাছাড়া আমরা খেলোয়াড়রাও বিশ্বাস করি। আমি শিওর বিসিবির সবাইও বিশ্বাস করে যে এরকম কিছু করতে পারি আমরা।’
বিশ্বকাপটা প্রিয় ফরম্যাটে হলেও ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে লাল-সবুজদের জন্য। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই কন্ডিশনেই সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। সাকিব বিশ্বাস করেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে বিশ্বকাপেও ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ।
এই প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,‘কন্ডিশনটা আমাদের জন্য কঠিন, এটাতে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই। ইংল্যান্ড এমন একটা জায়গা যেখানে আমরা খুব বেশি ভালোও করিনি। যদিও আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছি। আমরা কিন্তু শুধুমাত্র এক ম্যাচ ভাল খেলার কারনেই সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করি। পুরো যদি টুর্নামেন্ট দেখেন, আমরা যে খুব বেশি ভালো করেছি সেটা আমি বলব না। আমাদের অনেক ভালো করতে হবে। আমাদের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভালো অভিজ্ঞতা ছিল, সেটা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’
চোটের কারণে বর্তমানে দলের বাহিরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব। জিম্বাবুয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে বাংলাদেশে। সেই সিরিজে ফেরার সম্ভবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন,‘আসলে আমরা কেউই সময় বেঁধে দিতে পারছি না। এমনও হতে পারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে খেলতে পারি, দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারি। হতে পারে ওয়ানডে পর্যন্ত নাও খেলতে পারি। তবে আমি আবারো বলছি, উন্নতি যেভাবে হচ্ছে সেই অনুযায়ী খুব বেশি সময় লাগার কথা না। আর এটাই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি শতভাগ ফিট অবস্থায় খেলতে পারা যায়।’