ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার প্রথম সেমি-ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে বাংলাদেশ। টাইব্রেকারে দলের জয়ে গোল করেন তৌহিদুল ইসলাম, রাজা আনসারি, কামরান উদ্দিন ও রোস্তম ইসলাম দুখু মিয়া।

নেপালকে হারানোর ম্যাচে লালকার্ড পাওয়ায় সেরা চারের লড়াইয়ে দলের পোস্টের নিচে ছিলেন না নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। নেপাল ম্যাচেই বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রাখা মেহেদী হাসান ভারতের বিপক্ষে দুটি শট ফিরিয়ে দলের জয়ের নায়ক।

মিডফিল্ডার পাত্রে হার্শ শৈলাসের দূরপাল্লার শট গোলরক্ষক মেহেদী হাসানকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ালে সপ্তদশ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৭তম মিনিটে নাজমুল আহমেদের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দল।

দ্বিতীয়ার্ধের আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। অবশেষে যোগ করা সময়ে সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান বদলি ফরোয়ার্ড আশিকুর রহমান। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সের মধ্যে রাসেল আহমেদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে তৃতীয় গোল করলেন আশিকুর। গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে গুঁড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে দুই গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।

মালদ্বীপকে ৯-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার পর নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে নিজেদের মাঠে ভারতকে হারিয়ে এ প্রতিযোগিতার প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সীদের নিয়ে। ২০১৭ সালে থেকে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য অনূর্ধ্ব-১৫ বয়সীদের নিয়ে টুর্নামেন্টটি হচ্ছে।