ঝিনাইদহের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের নব স্বপ্ন

ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন আমন ধানের সমারোহ। যতদুর চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। আমন ধান রোপণের পর চাষিরা পানির অভাবে হতাশায় পড়েছিল।পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টির পানি সময়মত না হওয়ায় কৃষকরা সেচ দিয়ে ধান রোপণ করেছিল। তারপর আমন ধানের মাঝামাঝি সময় প্রখর রোদে ধান গাছ শুকিয়ে মরার উপক্রম দেখা যাচ্ছিল। তখন কৃষকরা সেচ দ্বারা ধান রক্ষা করেছিল। কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে ধান গাছগুলো সতেজ দেখা যায় তাতে কৃষকের ফলনের আশা জাগে।

ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ধান গাছের ধান লাল আকার ধারন করেছে।কিছুদিন পর পাকা ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের মনে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করবে। কথা হয় সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আনারুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ বছর চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি ধানের শিষ বের হয়েছে কিছুদিন পরেই ধান কাটতে পারব ফলনও ভাল পাব। কৃষক হামিদ জানান এ বছর ২ বিঘা জমিতে আমন ধান করেছি বৃষ্টি না হওয়ার কারনে খরচ একটু বেশি হয়েছে। আবহাওয়া যদি ভাল থাকে তাহলে কোন সমস্যা হবে না এবছর কৃষকরা স্বর্ণা, ৪৯,বিনা ৭, ৫১ এধরনের জাতের আবাদ তারা করেছে।

সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহেদ আলী জানান। বিষমূক্ত ধান করার জন্য কৃষকদের আই,পি,এম, আলোর ফাদ, জমিতে ডালপোঁতা সহ নানা প্রযুক্তিতে কৃষকদের সচেতন করার জন্যে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছি। মাঝে মাঝে ধানের জমিতে সেচের দ্বারা ধান গাছ গুলো ভাল হয়েছে। কিছুদিন আগে বৃস্টির পানিতে ধানের উপকৃত হয়েছে।

তিনি আরোও জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকালে এবছর লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছি। ঝিনাইদহ জেলার মাটি ধান চাষের জন্যে উপযোগী। আমরা চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকি।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে উপপরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বলেন, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় এবছর ১ লক্ষ ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। আমরা আশা করছি প্রকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে কৃষকরা আমন ধানের ফলন ভালো পাবে।