কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। এর আগেই আলেমদের সমাগমে একপ্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে থাকবেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় এই ‘শোকরানা মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকাসহ সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে যেতে দেখা গেছে। টিএসসি ও মাজারগেট দিয়ে মাহফিল স্থানে প্রবেশ করছেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও আয়োজক আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের কারণে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভেতরে সীমিত আকারে যান চলাচল করছে।