বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম আর নেই

toriqul islam

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম আর নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরিকুল ইসলাম।

আগামীকাল সকাল ১০ টায় পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে তার লাশ যশোরে আনা হবে। বিকাল ৩ টায় যশোর লালদীঘির পাড়ে দলীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আসর বাদ যশোর ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা শেষে কারবেলায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।

তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তরিকুল ইসলাম। অ্যাপোলো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত বছর তরিকুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তরিকুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের চার বার মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক এই ব্যক্তিত্ব যশোর থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক লোকসমাজ’ পত্রিকার প্রকাশকও ছিলেন।

১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন তরিকুল ইসলাম। পিতা মৃত আলহাজ্জ্ব আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা মৃত মোসাম্মৎ নূরজাহান বেগম ছিলেন একজন গৃহিণী।

তরিকুল ইসলাম যশোর সরকারি সিটি কলেজে বাংলা বিভাগের উপাধ্যক্ষ পদে দাযত্বি পালন করেছিলেন।
তরিকুল ইসলাম পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বাল্যশিক্ষা শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি যশোর জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। একটানা আট বৎসর শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৬১ সালে তিনি এই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৬৩ সালে তিনি যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে আই এ । ১৯৬৮ সালে একই কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতিতে বি এ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।