তফসিল ৮ নভেম্বরই বহাল থাকুক: ইসিকে জাতীয় পার্টি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার।

বৈঠকে ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় জোটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে এ কথা জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব।

বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জোটের নেতৃত্ব দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ৮ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন বহাল রাখা। রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ যেহেতু শেষ হচ্ছে, তাই তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। মনোনয়নের আবেদনপত্র তোলার নিয়ম পূর্বের তুলনায় সহজ করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের সময় যেন কোনোভাবেই অস্ত্রের ব্যবহার না হয়, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাত ও সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোবাইল, পোস্টার, মোটরসাইকেল ব্যবহার সীমিত করতে হবে। নির্বাচনকালে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

বৈঠকে অংশ নেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এমএ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, শাহেদুর রহমান টেপা, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আব্দুস সবুর আসুদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এমএ মোমেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জালাল আহমেদ, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএর চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।