যশোর-নড়াইল সড়কে যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুরে দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুশোভন খিসা (৬৮) নামে একজন নিহত হযেছেন। সে রাঙ্গামাটি জেলার ফরেজ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত অমিও খিসা। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জনকে আহত আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘারপাড়থানা পুলিশ ও পাশ্ববর্তী নড়াইলের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭ টার দিকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে আসা ডলপিন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহি বাস (যার নং-ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৭৬৮৪) যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুর বড় পুকুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরিত দিক থেকে আসা নড়াইলগামি জিএম পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহি বাসের (যশোর-জ ১১-০০৯৪) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দু’টির সামনের অংশ ঝলসে যায়।

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সুশোভন খিসা মারা যান। আহতদের মধ্যে জিএম পরিবহনের চালক নড়াইলের লোহাগড়ার মির্জা খান ও ডলফিন পরিবহনের যাত্রী রাঙ্গামাটির ফরেজ কলোনি এলাকার মৃত লাল বিহারির ছেলে সুপ্রতিম চাকমার অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে ঢাকায় রেফার করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে আহত যাত্রী কনক বরন চাকমা জানান, তারা রাঙ্গামাটি থেকে বেনাপোল হয়ে ভারতে তীর্থ স্থানে যাচ্চিল। তাদের সাথে মোট ৪৫ জন তীর্থ যাত্রী ছিলেন। নিহত সুশোভন খিসা তাদের মৌজা প্রধান বা হেডমেন বলেও উল্লেখ করেন কনকবরন চাকমা।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমৃকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন,‘ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হতাহতদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। দূর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টি পুলিশের হেফাজতে নৌযা হয়েছে’।