সাদা পোষাকে নীরিহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে যশোর কোতয়ালি পুলিশ

jessore map

মাদক, সন্ত্রাসী, নাশকতা নির্মুল ও ওয়ারেন্ট তামিলের নামে সাদা পোষাকে যশোর কোতয়ালি পুলিশ নীরিহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। প্রায় প্রতিদিনই শহর ও শহরতলী থেকে সাদা পোষাকে কোতয়ালি পুলিশ নীরিহ সাধারণ মানুষকে আটক করে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মােটা অংকের টাকা।

১৪ নভেম্বর বুধবার সকালে সাদা পোষাকে কোতয়ালি পুলিশের এস আই আমিরুজ্জামান, এ এস আই বিপ্লব ও এ এস আই ফোরকান শহরের পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকা থেকে ওই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে স¤্রাট ও সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার পূর্বকোটা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে বায়েজিদকে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে।

এলাকাবাসির অভিযোগে জানা যায়, আটকের পর দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের স্বজনদের কাছে ফোন দিয়ে থানায় ডেকে নেয়া হয়। স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে মাদক ও অস্ত্র মামলায় দিয়ে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে দুজনের স্বজনদের কাছে লাখ টাকা দাবি করা হয়। লাখ টাকা দিলে দুজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হবে তা নাহলে মাদক ও অস্ত্র মামলায় চালান দেয়া হবে। দেনদরবারের একপর্যায়ে স্বজনদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে স¤্রাট ও বায়েজিদকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

বুধবার থানার ডিউটি অফিসার হায়াত আলি জানান, স¤্রাট ও বাযেজিদকে এস আই আমিরুজ্জামান, ও এ এস আই ফোরকান আটক করে।

স¤্রাট ও বায়েজিদকে আটকের ব্যাপারে এস আই আমিরুজ্জামান জানান, তিনি কাউকে আটক করেননি। এ এস আই ফোরকান ও এ এস আই বিপ্লব হোসেন আটক করে থানায় নিয়ে তাকে জানায়। পরে দুজনকে কি করা হয়েছে তিনি (আমিরুজ্জামান) বলতে পারেন না।
এ এস আই ফোরকানের কাছে স¤্রাট ও বায়েজিদকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমিরুজ্জামান স্যার আটক করেছে আমি জানি না।
এ এস আই বিপ্লবের কাছে স¤্রাট ও বায়েজিদকে আটকের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি পুরাতন কসবা কদমতলা থেকে শুধু স¤্রাটকে আটক করি। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তদবীর করে ওসি স্যারের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্যে গত ৯ নভেম্বর শহরের প্রান কেন্দ্র দড়াটানাস্থ আবাসিক হোটেল রাজে সাদা পোষাকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আল আমিন নামে এক বর্ডারকে মারপিট করে ১লাখ ৯৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। আল আমিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তিনি ঢাকার একটি পাথর কোম্পানিতে চাকুরি করেন। ওই দিন তিনি পাথর দিতে যশোর আসেন। রাত হয়ে যাওয়ার কারনে আল আমিন দড়াটানাস্থ হোটেল রাজে উঠেন। প্রায় দুলাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আল আমিন কোতয়ালি
থানায় যেয়ে ওই রাতে মৌখিক অভিযোগ করেন। এবিষয়টি নিয়ে পুলিশের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তদবির করেন আল আমিনের পক্ষে। অথচ ঘটনার পর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালি পুলিশ এখনো পর্যন্ত টাকা উদ্ধার, আসামি আটক বা মামলা করেনি। ফলে সাদা পোষাকে পুলিশ পরিচয়ে শহর ও শহরতলীতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হলেও ঘটনার কোন সমাধান হচ্ছে না।