প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া গ্রেপ্তার-মামলার তালিকা সিইসিকেও দিল বিএনপি

cec km nurul huda
ফাইল ছবি

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যাতে গায়েবী ও মিথ্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার না করে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

রোববার দলটির কেন্দ্রীয় মামলা ও তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন খান চিঠি ও মামলার তালিকা ইসিতে জমা দেন।

চিঠিতে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাদি হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা গায়েবী মামলা রজ্জু ও গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২টি মামলায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ৮ তারিখে তফসিল ঘোষণার পর ৭৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার তালিকা গত ১৫ই নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে দেয়া হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব গায়েবী ও মিথ্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার জন্য বিএনপিসহ ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যজোট ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হয়। ওই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য তার দপ্তরে পাঠাতে বলেন।

এ অনুযায়ী গত ৭ই নভেম্বর ১০৪৬ টি ও পরে ১৩ই নভেম্বর ১০০২ টি মামলার তথ্য জানানো হয়। তবে তালিকা পাঠানোর পরও এখন পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেয়ার কোন তথ্য আমাদের অবহিত করা হয়নি। এমন অবস্থায় বিএনপি বিষয়টিতে ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে জানানো হয়, ২০০৯ সাল থেকে এ বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৯০ হাজার ৩৪০টি, আসামীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জন, জেলহাজতে থাকা আসামীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯২৫ জন, মোট হত্যার সংখ্যা ১ হাজার ৫১২ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীর হত্যার সংখ্যা ৭৮২জন, বিভিন্ন দলের মোট গুমের সংখ্যা ১ হাজার ২০৪ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজত থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৭৮১ জন এবং বিএনপির গুম ছিল ৪২৩ জন, ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা গুম রয়েছেন ৭২ এবং গুরুতর জখম ও আহত হয়েছেন ১০ হাজার ১২৬জন।