খালেদার বিরুদ্ধে পরোয়ানা সংক্রান্ত আদেশ ২৬ নভেম্বর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কট’ক্তির অভিযোগে করা মানহানি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের তারিখ পিছিয়ে ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার পরোয়ানা জারির আদেশের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান তা পিছিয়ে ২৬ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে গত ৩০ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাফর আলী বিশ্বাস সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত ১৬ জুলাই মামলার বাদী প্রতিবেদন গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরায়ানা জারির আবেদন করলে ২৯ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এদেশের জনগণ যুদ্ধে নেমে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধর্মলঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। খালেদা জিয়ার উক্ত বক্তব্য মানহানিকর উল্লেখ করে মামলাটি করেন তিনি।

আদালতে দাখিলকৃত পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকের প্রকাশিক প্রতিবেদন এবং উক্ত অনুষ্ঠানের ধারণকৃত ভিডিও সিডি পর্যালোচনায় এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি খালেদা জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ভীতি প্রদান করেছেন।