ভোটের পরে সংখ্যা লঘুদের ওপর আর হামলা হতে দেওয়া হবে না : শাহরিয়ার কবির

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর আর হামলা করতে দেওয়া হবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। সংখ্যাগুরুদের মানবিক মূল্যবোধের জায়গা থেকে সংখ্যা লঘুদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহন করতে হবে। সংসদ হতে হবে রাজাকার মুক্ত। মুক্তিযুেদ্ধর চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যে সব হাইব্রিড নেতারা জামাত-বিএনপির নেতা কর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে তাদের মনোনয়ন দিলে ভোটে বিপর্যায় ঘটবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনোত্তর সহিংসতার শিকার যশোরের অভয়নগর উপজেলার মালোপাড়ায় স্থানীয়দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি মালোপাড়াবাসীদের অভয় দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ভোট দিবেন। নিজের মতামত ব্যক্ত করে সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হবে। এ দেশ আপনার আমার।

মালোপাড়ার প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, সমাজে মাথা উঁচু করে বাচতে আমাদেরও ইচ্ছা হয়। নির্বাচন হয়ে গেলে আমাদের ওপর অত্যার চলে, এটা নতুন কিছু না।
তিনি দুঃখ করে বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী হামলার আসামীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ভোটের পরে কেউ আমাদের খবর রাখে না। তিনি মালোপাড়া অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি স্থায়ীকরণের দাবি করেন।

যশোর জেলা ঘাতক দালল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন।

সভায় অন্যার মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যশোর ৪ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট বুরো সদস্য ইবাল কবির জাহিদ, ২০০১ সালে নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা শীল, যশোর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতা দেব কুমার ঘোষ, অভয়নগর উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির নেতা শেখর বর্মণ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বচনোত্তর পাশবিক নির্যাতনের শিকার মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের হজরালি গ্রামের সংখ্যা লঘু রুপালী রায় ও মনিমালা দাস প্রত্যেকে দশ হাজার টাকা ও শাড়ী উপহার দেওয়া হয়। পরে নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন ঘটনাবলির উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।