যশোরের চৌগাছায় তাসলিমা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শরিফুল উপজেলার বাদেখানপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির অদূরে একটি কুঁড়ে ঘর থেকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ও থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) উত্তম কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৮ নভেম্বর বিকেল চারটার দিকে বাদেখানপুর গ্রামের মাঠ থেকে এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় লাশের পাশে পড়ে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে সিমবিহীন একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পুলিশ ফোন মেমোরিতে একমাত্র মণিরামপুরের ইত্তা গ্রামের আবু বক্কর নামে এক ব্যক্তির হদিস পায়। সেই সূত্র ধরে রাতেই মণিরামপুরে সংশ্লিষ্ট বাড়িটিতে হানা দেয় পুলিশ। এসময় আবু বক্কর বাড়িতে না থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।
পুলিশ পরে আবু বক্করের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, নিহত নারীর নাম তাসলিমা। তিনি বক্করের ধর্ম মা।
পুলিশ আবু বক্করের কাছ থেকে পাওয়া নিহত তাসলিমার মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে জানতে পারে, আটক শরিফুল ইসলাম ঘটনার দিন ২৫ বার এবং ঘটনার আগের দিন ২৬ বার তাসলিমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। এরপরে তাকে আটক করা হলে সে এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলেও স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার আরো জানান, তাসলিমা হত্যার এজাহারভুক্ত মূল আসামি বাদেখানপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে মমিনুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাসলিমার সাথে মন দেয়া-নেয়া চলছিল। এক পর্যায়ে তাসলিমা বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো ছয় লক্ষাধিক টাকা মমিনুরকে দিয়েছেন। তাসলিমা কয়েকবার মমিনুরের বাড়িতেও এসেছেন। কিন্তু মমিন বিয়ে করতে রাজি না হলে তাসলিমা শরিফুলকে ঘটক মানেন। এ জন্য তাসলিমা তাকে অনেক টাকা দিয়েছেন বলেও শরিফুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এক পর্যায়ে ১৭ নভেম্বর তাসলিমাকে বিয়ের নাম করে ডেকে এনে মমিনুর এবং শরিফুলসহ কয়েকজন ১৮ নভেম্বর রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।