নৌকা না পেয়ে ধানের শীষে সওয়ার সাইয়িদ

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে যোগ দিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ। এই দলটির আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ ব্যবহারের কথা আছে।

সোমবার গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মণ্টু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুপুরে মতিঝিলের কামাল হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে দলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

১৯৯৬ সালে পাবনা-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন সাইয়িদ। তবে হেরে যান ২০০১ সালে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন আর এ কারণে দলে অবস্থান হারান।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সাইয়িদের আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে শামসুল হক টুকুকে। জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সংসদ সদস্য এবং পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন তিনি।

২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে টুকুকে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হন সাইয়িদ। তবে সামান্য ভোটে হেরে যান আর এরপর কারচুপির অভিযোগ আনেন।

গত ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন সাইয়িদ। এতে ধারণা করা হচ্ছিল তার সঙ্গে দলের দূরত্ব ঘুঁচেছে। তবে আওয়ামী লীগ এবারও তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বেছে নিয়েছে টুকুকেই।

গণফোরাম নেতা মন্টু বলেন, ‘আজ দুপুরে আবু সাঈদ আমাদের পার্টি অফিস থেকে ফরম নেন। এর পর তিনি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে দেখা করে যোগ দেন।’

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ আ স ম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগ দিয়ে চমক তৈরি করেন। এরপর ১০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা যোগ দেন দলটিতে। মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারেরও গণফোরামে যোগ দেয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সেটি সত্য প্রমাণ হয়নি।