ধানের শীষের প্রচার মাইক ভাংচুর, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা ও হামলা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে করেছে যশোর জেলা বিএনপির।
জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু অভিযোগ করেছেন, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। নির্বাচনি মাঠে না থাকার হুমকি ও হয়রানি করছে। এ কারণে তারা কেউই বাড়িতে থাকতে পারছেন না। শুধু যশোরে-৩ নয়, যশোরের সব কয়টি সংসদীয় আসনে একই আবস্থা। প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা একাত্ম হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচানী তৎপরতা চালাতে দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সাবু বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখন না বলাই ভালো। তবে নূন্যতম পরিবেশ পেলে আমাদের কর্মীরা মাঠে থাকবে। পুলিশ গ্রেফতার, অভিযান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করা বন্ধ হলেই এ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত।
সংবাদ সম্মেলনে যশোরে-৩ সংসদীয় আসনের নির্বাচন পরিচালন কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, যশোর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার মাইক চুড়ামনকাটি বাজারে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী সন্ত্রাসী রুনু সর্দার ভাংচুর করেছে এবং দড়াটানায় নৌকার পক্ষের মিছিল থেকে আর একটি প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে। সোমবার আরবপুর ইউনিয়নের সুজলপুর গ্রামে টাঙানো ধানের শীষের পোষ্টার স্থানীয় যুবলীগের মকবুল ছিড়ে ফেলেছে এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী মিঠু, বুদো, কালামসহ দলবল নিয়ে ঐ গ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নেছার উদ্দীন এর বাড়ীতে হামলা ও মারপিট করেছে এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার হুমকি দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১০ তারিখে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সমাবেশ করে শহরে মিছিল-শোডাউন করেছে। যা আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যশোরে নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে অবাধে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ অন্যান্য প্রার্থীদের গণসংযোগে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিএনপির কর্মীদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুবিধা-নিশ্চিত করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না।
তাই অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি এবং গ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃত জোটের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানা তিনি।
সংবাদ সমম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধানণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হেসেন খোকন, যুগ্ম স্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির নেতা হাজী আনিচুর রহমার মুকুল, আবু তৈয়ব, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, ছাদ্র দলে জহিরুর ইসলাম শিমুল, ফারুক হোসেন প্রমুখ।