যশোরে ধানের শীষের অফিস ভাংচুর, ককটেল হামলা : ৪ সাংবাদিকসহ আহত ৩০

বৃহস্পতিবার যশোরের তিনটি স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারকর্মী ও নির্বাচনী কার্যালয় পুলিশের উপস্থিতে হামলা হয়েছে। এতে ৪ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত ৫ জনকে গরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় যশোর-৩ আসনের প্রাথী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এক সাংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রিটাংনিং অফিসারের কাছে নির্বাচনী সহিংতা বিষয় লিখিত ভাবে পাঁচটি অভিযোগ দেওয়া হলে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবস্থা দৃষ্ঠে মনে হচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রসী ও প্রশাসন একাট্ট্রা হয়ে ধানের শীষের কর্মীদের মাঠ ছাড়া করে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম হামলাটি ঘটে যশোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামে। সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সমাবেশস্থলে ককটেল হামলা ঘটনা ঘটে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করেছে মাইক নিয়ে চলে যায়। এ সময় অন্তত দুটি ককটেল ছোড়া হয়।

হালসা গ্রামে আহতরা

এ ঘটনায় ধানের শীষের ২০ জন কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন জুয়েল (৩৪), মহিদুল ইসলাম (৩৯), দাউদ হোসেন (৩৬), তাজু হোসেন (৩২), ইমামুল ফরহাদ (২৪)।

camera
সময় টিভির ক্যামেরা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

এ দিকে বিকেল ৪টারদিকে শহরের মুড়লী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার অফিস উদ্বোধন করতে যান বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এসময় অস্ত্রধারীরা হামলা চালায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এতে সময় টিভির যশোর প্রতিনিধি জুয়েল মৃধা ও ক্যামেরাপার্সন আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক এহসানুল হক মিথুন, লোকসমাজ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক এমআর মিলন, নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষাদশীরা জানান, বিকেলে বিএনপির প্রার্থী অমিতের নির্বাচনী কার্যলয় উদ্ধোধনের আগেই আওয়ামী সন্ত্রীরা ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। ঘটনা শুনে ধানে শীষে প্রার্থী অমিত সহ নেতৃবৃন্দ হাজির হলে পুলিশের উপস্থিতে সন্ত্রসীরা প্রার্থী অমিতকে ছুরি মারতে উদ্ধোদ্য হয়। নেতৃবৃন্দ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে অন্তধারী সন্ত্রাসীরা তাদের উপর চড়া হয় এবং বেপরোয়া মারপিঠ করে। এতে চার সংবাদিক সহ ১০ নেতা কমী আহত হন।
অপর হামলা ঘটনা গটেছে যশোর-২ নিবাচনী এলাকায়। সে খানে ধানে শীষ প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু সাইদদের নির্বাচনী কার্যলায় তছনছ করে সন্ত্রসীরা।

বিকেলে যশোরে-৩ নির্বাচনী এলাকার প্রাথী অমিত ঘটনার প্রতিবাদে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে। সে খানে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিন থেকেই ধানের শীষের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। প্রচার- মাইক ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। পোষ্ঠার ছিড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ককটেল হামলা, নিবাচনী কার্যারয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটলে। এ নিয়ে জেলা রিটানিং অফিসারে কাছে অনন্ত পাঁচটি আভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে সন্ত্রাসীরা আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আমাদের মাঠ ছাড়া করে একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে।