যশোর সদর ৩ আসনের ১৭২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্রে রাতেই ভোট কাটার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন ঐক্যজোটের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ইতিমধ্যে ব্যালেট পেপারে সিল মারার জন্য এমএসটিপি বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে তা অগ্রিম সরবরাহ করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি জেলা রিটানিং অফিসারকে অবহিত করেছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এ অভিযোগ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে সকল অনাচার রুখে দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমি অত্যান্ত দায়িত্ব নিয়ে বলছি এখনও পর্যন্ত ৫৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির চুড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। আমার কাছে কয়েকটি সুত্র থেকে একই তালিকা এসেছে। অত্যান্ত উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি এমএসটিপি স্কুল থেকে ইতিমধ্যে তাদরে কর্মীদের কাছে ব্যালেট পেপার সরবরাহ করা হয়েছে। এই ব্যালেট পেপার আগামীকাল তারা যখন ভোট দিতে আসবে, তখন সঙ্গে করে নিয়ে এসে ব্যালেট বাক্সে ঢুকিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, যশোরে নির্বাচনটি পুলিশের কতিপয় অতি উৎসাহী সদস্য ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের যৌথ প্রযেজনায় পরিচালিত হচ্ছে। এ অবস্থায় একজন প্রার্থীর পক্ষে তা মোকাবেলা করা সত্যি কঠিন। ইতিমধ্যে আমার পুলিং এজেন্টদের ৫০ শতাংশ আটক করা হয়েছে। শনিবার আবারও নতুন করে পুলিং এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কয়েক ঘন্টা বাদেই নির্বাচন। জানিনা তাদের কেউ রাতের মধ্যে আটক করা হবে কি না! আজ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা যৌথ ভাবে আমাদের লোকজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে।