উন্নয়নের কারণেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘উন্নয়নের কারণে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে আমিই প্রথম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই অঞ্চলের মানুষের নৌকায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও প্রভাব ফেলেছে।’
বুধবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
নির্বাচন কীভাবে কাটালেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন আমি ইনজয় করেছি। নির্বাচনের পর দুর্বল হয়ে পড়িনি।’
মন্ত্রিপরিষদ কবে নাগাদ শপথ নেবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়টি দলের সভাপতি শেখ হাসিনার এখতিয়ার। সেখানে অনুপ্রবেশের কোনও সুযোগ নেই। তবে উনি কারও সঙ্গে পরামর্শ করলেও করতে পারেন। নতুন সরকার আগামী ১০ তারিখের মধ্যে শপথ নিচ্ছেন এ বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদের আকার বাড়বে কি না এটিও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’
এবার সংসদে বিরোধী দলে কারা থাকছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অপজিশন তো আছে। ঐক্যফ্রন্টেরও সাত জন আছেন। শুনেছি তারা নাকি শপথ নেবেন না। তবে তাদের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না সেটি আমি জানি না। এর মধ্যে গণফোরামেরও দুজন আছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তটি আবারও বিবেচনা করা উচিত। তাদের জনগণের রায় মেনে নেওয়া উচিত। আশা করি, জনগণের রায়কে তারা অসম্মান করবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাত জন এই সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে, কণ্ঠস্বর বিবেচনা করা উচিত। বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর সবসময় জোরালো থাকে। কর্কশ না হলেই হয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবো। সংসদীয় কমিটির বৈঠক কাল নাও হতে পারে। আমাদের নেতা তো চূড়ান্ত। আমাদের নেতা শেখ হাসিনা। তিনি মেজরিটি পার্টির নেতা তো আগে থেকেই হয়ে আছেন। তাকে সামনে রেখেই আমরা নির্বাচন করেছি। এখন রাষ্ট্রপতি উনাকে মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন।’
বিএনপি বলেছে নির্বাচনের বিষয়টি তারা লিগালি ফেস করবে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোভাব কী তা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘বিএনপি যদি এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে লিগালি কোনও অ্যাকশনে যায়, তবে আমরাও লিগালি তা ফেস করবো। আর আন্দোলনের কথা তো অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি। রাজনৈতিক আন্দোলন রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে।’
জাতীয় পার্টি সরকারে না কি বিরোধী দলে থাকবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে কথা বলার এখনই সময়।’
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ কী এমনপ্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দলের সভাপতি শেখ হাসিনা জনগণকে যেসব প্রতিশ্রিুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। বিশাল বিজয়ের সঙ্গে বিশাল দায়িত্বও রয়েছে।’