মানুষ প্রতিবাদ হিসেবে ভোটকেন্দ্রে যায়নি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ডিএনসিসি) জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, তারা ভোটের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে।

শুক্রবার মৎস্যজীবী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ যে বিশ্বাস করে না, গতকাল সেটা প্রমাণ করেছে।’

ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, এটা পরিষ্কার। এই মেয়র উপনির্বাচনে জাপার যিনি প্রার্থী ছিলেন, তিনি বলেছেন, প্রায় ৪০টি কেন্দ্রে তিনি গিয়েছেন, সেখানে কোনো ভোটার দেখেননি। ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ এই সরকার ও প্রশাসনের যে চেহারা দেখেছে, তার প্রতিবাদ হিসেবে গতকাল তারা ভোটকেন্দ্র যায়নি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আমরা পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর খুব শিগগির এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা নির্বাচনে যাব।’

‘ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আট লাখ ৪৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়েছেন। এটা কোথা থেকে এলো? আমাদের কাছে পরিষ্কার, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছিল, জনগণের ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এভাবে ৯০ শতাংশ ভোট তারা দিয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় গতকালও ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটাও সরকার তার সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করেছে।’

ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই যে দুটি ঘটনা, জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ সরকার আজকে ভোটার দিবস পালন করছে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর। ভোটাররা যেখানে ভোট দিতে পারে না, সেখানে আজকের স্লোগান হচ্ছে ভোটার হন, ভোট দিন! সরকারই আজকে ভোটাদের ভোটাধিকার হরণ করে ভোটার দিবস পালন করে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে, তামাশা সৃষ্টি করেছে।’

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।