পুরান ঢাকায় কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গুদাম রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেখানে থাকা রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরাতে হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনও বাধা মানা হবে না।’
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র এবং উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে যে আগুনটা লাগলো, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখানে এই ধরনের দাহ্য পর্দাথ থাকতে পারবে না। আমরা আলাদা জায়গা খুঁজে দিচ্ছি। তাদের ব্যবসা আমরা নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু যেখানে বসতি সেখানে গোডাউন রাখতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে তারা তাদের শো রুম রাখতে পারবে। যে পণ্য উৎপাদন করবে, তা বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু গোডাউনের জন্য আমরা সম্পূর্ণ আলাদা জায়গা করে দেবো। যেখানে দাহ্য পদার্থ থাকা নিরাপদ।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘একবার নিমতলী হয়ে গেল, এখন এত বড় ঘটনা। কতগুলো মানুষের জীবন চলে গেল, কাজেই এখানে যে বাধাই আসুক, কোনও বাধাই আমরা মানবো না। আমরা এটাকে (দাহ্য পদার্থের গুদাম) সরিয়ে নিয়ে যাবো।’
এর আগে শপথ নেন ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরা। নতুন মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদ ও দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন এবং ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ড ও ডিএসসিসির ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।