মাদক সেবন ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যবিপ্রবির ৮ ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার

just logo

মাদক সেবন ও মাদকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতার দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চার বিভাগের আটজন ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য শহীদ মসিয়ূর রহমান হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার শহীদ মসিয়ূর রহমানের হলের প্রভোস্ট বডির সভায় মাদক সেবন ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

হল থেকে বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তানভীর মাহমুদ ফয়সাল (রোল-১২১১২১) ও তানীম আহমেদ (রোল-১২১১১৭), একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আক্তারাজ্জামান আপন (রোল-১৫১১২২), ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র কে এম শাহেদ (রোল-১৬১৬০২), ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাক্শন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ইখতিয়ার ইমাম আনান (রোল-১৬০৭০১), বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র দেবায়ন দাস জয় (রোল-১৬১৯৮১৮), অভিক মজুমদার (রোল-১৬১৯০৭) এবং নিলয় চন্দ্র মন্ডল (রোল-১৬১৯১১)। এরমধ্যে তিন জন শিক্ষার্থী অনাবাসিক হওয়ায় তাদেরকে এক হাজার টাকা জরিমানাসহ ছয় মাসের মধ্যে হলে প্রবেশ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রভোস্ট বডির সভা থেকে জানা যায়, রুটিন কাজের অংশ হিসেবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি শহীদ মসিয়ূর রহমানের হলের প্রভোস্ট আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে অন্যানা সহকারী প্রভোস্টগণ হল পরিদর্শনে যান। এসময় তারা হলের ৪১২ নম্বর কক্ষে চার জন ছাত্রকে মাদক সেবনরত অবস্থায় দেখতে পান। পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি হলের ১১০ নম্বর কক্ষে প্রভোস্ট বডির সদস্যরা গাঁজা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ দেখতে পান। এছাড়া ওই কক্ষ তারা সারারাত ড্রাম ও উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ পান। গঠিত তদন্ত কমিটিও এসব ঘটনার সত্যতা পায়। পরে তদন্ত কমিটি প্রভোস্ট বডিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস এর পার্ট-১ এর ৩ (প) অনুযায়ী অভিযুক্ত ছাত্রদের এক বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করে। তবে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের ভবিষ্যত বিবেচনা এবং শোধরানোর শেষ সুযোগ দিতে প্রভোস্ট বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস এর পার্ট-২ এর ৬ ধারা অনুাযায়ী আট শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার এবং তিন জন ছাত্রকে এক হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শহীদ মসিয়ূর রহমানের হলের প্রভোস্ট আমজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে হলের সভা কক্ষে প্রভোস্ট বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন হলের সহকারী প্রভোস্ট মজনুজ্জামান, ড. ফরহাদ বুলবুল, মোহাম্মদ নওশীন আমিন শেখ।