লাইন এগোচ্ছে না: ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু প্রধান সমস্যা, লাইন এগোচ্ছে না। যে কারণে আমাদের ভোটররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারছে না।

সোমবার সকালে নির্বাচনের সার্বিক দিক নিয়ে আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, লাইন না এগুনোর কারণে আমাদের প্রার্থীরা ঢুকতে পারছে না। আমাদের ভোটাররা ঢুকতে না পারার ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলছেন- আপনারা কারা। আপনাদের পরিচয় দেন।

পরিচয় নেয়ার দায়িত্ব কি স্পেসিফিক কাউকে দেয়া হয়েছে। যেখানে বিএনসিসি থাকার কথা। শিক্ষকরা রয়েছেন, আমাদের বাবারা রয়েছেন। সেই জায়গা থেকে লাইনে আমাদের প্রার্থীদের ঢুকতে যারা বাধা দিচ্ছেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য গৌরবে আঘাত হানছে।

এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি কেমন মনে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অনিক বলেন, আমরা এখনও শঙ্কায় আছি। আমরা যে নির্ভরতার জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চাই, সেই জায়গা এখনও তৈরি হয়নি।

সব হলে কি একই অবস্থা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোকেয়া হলে ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা, শুরু হয়েছে ৯টায়। প্রত্যেক হল থেকেই অভিযোগ আসছে- লাইন এগোচ্ছে না। যারা ভোট দিয়েছেন তারা আবার লাইনে দাঁড়াচ্ছে।

আমাদের হলে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। যে কারণে আমরা আমাদের কার্ডগুলো দিতে পারছি না। আমাদের হুমকি দিচ্ছে, বলেন ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী।

প্রসঙ্গত ২৮ বছর পর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এতে ৪৩ হাজার ২৫৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। মোট ভোটারের মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৯৪৪ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৩১২ জন।

ডাকসুতে ২৫ পদে নির্বাচন হচ্ছে। বিভিন্ন পদের মধ্যে আছে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে ৩টি। আরও আছে- সম্পাদকীয় ৯টি এবং ১৩টি সদস্যপদ। এসব পদের জন্য বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ২২৯ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ ভিপি ২১, জিএস ১৪ জন।

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩টি প্যানেল। অন্যদিকে প্রত্যেক হল সংসদে ১৩টি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে তিনটি। আরও আছে সম্পাদকীয় ৬, সদস্য ৪টি। হল সংসদ (১৮টি হল, ২৩৪ পদে) প্রার্থী ৫০৯ জন। হল সংসদ ও ডাকসু মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৮টি করে ভোট দিতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ শেষ করতে রিটার্নিং অফিসারসহ (আরও) ৪২ জন কাজ করছেন। খবর যুগান্তর।