ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মৃত্যুর শিকার ৫ ব্যক্তির পরিচয় ৭ মাসেও উদ্ধার হয়নি। পুলিশও কোন কুল কিনারা করতে পারছে না। মৃত্যুর কারণ নির্নয়ে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও এখনো রিপোর্ট আসেনি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক অফিস সুত্রে এমন ৫টি লাশের তথ্য পাওয়া গেছে।
সুত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টম্বর সদর উপজেলার ফুরসন্দি গ্রামে দিনমজুরের কাজ করতে এসে মোতালেব নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু তার শুধু নামটিই জানা সম্ভব হয়েছে। গ্রামের ঠিকানা আজও উদ্ধার হয়নি।
কই বছরের ১০ অক্টোবর সদরের বিষয়খালী এলাকার নৃসিংহপুর গ্রামের সেচ কেনালের মধ্য থেকে বোরকা পরিহিতা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাড়ে ৫ মাসেও অজ্ঞাত এই নারীর পরিচয় মেলেনি। তাকে শ্বসরোধ করে হত্যা করা হয়। তার হাত পা বাধা ছিল।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ অক্টোবর তার মৃত্যু ঘটে। অজ্ঞাত এই ব্যক্তিরও পরিচয় উদ্ধার হয়নি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অজ্ঞাত এক পুরুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে ১০ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। তারও নাম পরিচয় পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ ফেব্রয়ারি ঝিনাইদহ শহরের সুইট হোটেলের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধর করে পুলিশ। ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও অজ্ঞাত পুরুষ ব্যক্তিটির পরিচয় মেরেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবি শংকর জানান, আমরা চেষ্টা করছি পরিচয় উদ্ধারের।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় জানতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।