যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারীর মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন

jessore map

যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পরিতোষ কুমার রায়ের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মানষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অফিসের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।

শনিবার রাত ৩টার দিকে শহরের কুইন্স হাসপাতালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পরিতোষ কুমার রায় মৃত্যু বরণ করেন।

পরিবারের অভিযোগ, যশোর গণপূর্ত অফিসের দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। তার এসব অনিয়ম দুর্নীতির কারণে তিনি অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীকে নানা সময় ব্যবহার করেন। এ কারণে অধিদপ্তরের এম সাব ডিভিশন অফিসের উচ্চমান সহকারী মুকুল হোসেনের সাথে তার দহরম-মহরম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মুকুল হোসেনের সাথে তার বিবাদ শুরু হয়। মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নানা রকম ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। আর এ কাজে আশিষ ডি কস্তা অফিস সহকারী পরিতোষ কুমার রায়কে ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা অফিস সহকারী পরিতোষ কুমার রায়কে অধিদপ্তরের এম সাব ডিভিশন অফিসে বদলি করেন। এখানে পরিতোষ কুমার রায় যোগদান করতে না চাইলে তাকে হুমকি দিয়ে যোগদানে বাধ্য করেন। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা ও মুকুল হোসেন তাকে মানষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এতে করে তিনি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।

পরিতোষ কুমার রায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মৃত্যুর পর অফিসের বেশ কিছু কাজ থাকে। যেগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তার হাতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কথা বললে পেনশনসহ কোন টাকা পয়সা পাওয়া যাবে না। অশিষ ডি কাস্তের হাত অনেক লম্বা। যে কারণে এই মৃত্যু নিয়ে কোন কথা বলতে চায় না। তবে মানষিক নির্যাতন চালিয়ে পরিতোষ কুমার রায়কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে অধিদপ্তরের এম সাব ডিভিশন অফিসের উচ্চমান সহকারী মুকুল হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ০১৭৬১৭৩৬৩৯৪ নং মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে, পরিতোষ কুমার রায়ের মৃত্যুর পর যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে অফিসের কোন বিষয় নিয়ে বাইরের লোকদের সাথে কথা না বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা। যে কারণে আশিষ ডি কস্তা এরপর কার মৃত্যুর কারণ হবে সে বিষয়ে নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

যশোর গণপূত অফিসের একটি সূত্র জানায়, আশিষ ডি কস্তা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সাথে সব সময় দুব্যবহার করেন। তার অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ২/৩জন কর্মচারী বাদে তিনি সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।

তারা আরও বলেন, আশিষ ডি কস্তার শ্বশুর যশোর শহরের একজন প্রভাবশালী লোক। যে কারণে তিনি কারো সাথে ভালো ব্যবহার করেন না। তিনি সকলের সাথে দুব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আশিষ ডি কস্তা বলেন, কাল (সোমবার) অফিস খোলা আছে। আপনি আসেন। সামনা সামনি কথা হবে।

তিনি বলেন, পরিতোষ কুমার রায়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ডাক্তার ভালো বলতে পারবে। আমার ধারণা তার হার্ডে ব্লক ধরা পড়েছিল। হার্ড এট্যাকে সে মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই অফিসে দুইজন ষড়যন্ত্রকারী আছে। তারা রংচং মিশিয়ে বিভিন্ন কথা বলে বেড়াচ্ছে বলে আমি জানি। তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।