কপিরাইট আইনে ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ইউটিউবারদের?

কপিরাইট আইন পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। সমালোচকরা মনে করেন যা ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। নতুন নীতিমালায় অনুমতি ছাড়া কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো কিছু ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তার দায়ভার নিতে হবে। তবে মিম এবং জিআইএফ শেয়ার করা এই নতুন আইনের মধ্যে পড়বে না।

অনেক শিল্পীরাই মনে করেন এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে শিল্পীদের আর্থিক মূল্যায়ণ সঠিকভাবে হবে। কিন্তু অন্য অনেকেই মনে করে এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে।

অন্যদিকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বর্তমান আইনের অধীনে শিল্পীদের ন্যায্য সম্মানীই দেয়া হচ্ছে। গুগলে মতে, এই আইন ‘ইউরোপের ডিজিটাল ও সৃজনশীল শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত’ করবে। কিন্তু সমালোচলা হলেও এরই মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কপিরাইট সহ পোস্ট করা গান এবং ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে।

কপিরাইট কি

কপিরাইট হলো একজন ব্যক্তির আইনি অধিকার, যা ঐ ব্যক্তির তৈরি করা কোনো কাজ কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

দুইটি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক

অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী, যে কোনো নিউজ ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করতে সার্চ ইঞ্জিন এবং নিউজ অ্যাগ্রিগেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে টাকা দিতে হবে।

অনুচ্ছেদ ১৩ তে বলা হয়েছে, কপিরাইট লাইসেন্স ছাড়া যে কোনো কিছু পোস্ট করলে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায় নিতে হবে।

দেশি ইউটিউবাররা কেন ক্ষতির মুখে পড়তে পারে?

নতুন এই নীতিমালাকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন। তিনি বলেন, এর মাধ্যম সৃজনশীল কাজ করা শিল্পীরা তাদের মেধাস্বত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। এই আইনের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে গুগল এবং ইউটিউব। কারণ তারাই পৃথিবীতে ওপেন ইন্টারনেটের নামে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করছে।

জাকারিয়া স্বপন বলেন, যে ব্যক্তি নিজে কিছু তৈরি করছে, তার কন্টেন্ট তো বাধা দেয়া হচ্ছে না। যারা ঐ একই কন্টেন্ট নিয়ে আবারো পোস্ট করছে তাদের বাধা দেয়ার জন্য এই আইন।

তিনি আরো বলেন, তবে এই আইন বাংলাদেশে কার্যকর হলে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেলে কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বেন।