যশোর ও চুড়াডাঙ্গায় পৃথক প্রতিপক্ষের হামলায় আট জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী নুর নাহার (৩৪), ঝিকরগাছা উপজেলার রঘুনাথনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), আব্দুল জলিলের ছেলে শিমুল হোসেন (৩০) তার ভাই সহিদুল ইসলাম(৪৫), মশিয়ার রহমানের ছেলে মাহমুদুর হাসান (২৭), তার ভাই মাহমুদুর রহমান (৩১), চুড়াডাঙ্গার জীবননগরের গুরুগাছি গ্রামের মাহাতাব খানের ছেলে সৈকত খান (৫০) ও তার ভাই রওশন খান (৩৫)।
আহতরা জানিয়েছন, ভাতুড়িয়া গ্রামের নুর নাহারের স্বামী সৈয়দ আলী দেড় বছর আগে শহরের খড়কি এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে হাফিজা বেগম (৩০) কে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বর্তমান সৈয়দ আলী দ্বিতীয় স্ত্রী হাফিজাকে নিয়ে খড়কি এলাকার নিহ্নত সন্ত্রাসী বর্ষণদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রোববার সন্ধ্যা ছয় টার দিকে নুর নাহার ব্যক্তিগত কাজে খড়কি আসেন। এ সময় তার স্বামী সৈয়দ খান ও হাফিজা বেগম তাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
একই দিন সকাল ১১ টার দিকে ঝিকরগাছায় রঘুনাথনগর গ্রামের আহতরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে নৌওয়ালী বাজার যান। এ সময় পূর্ব শত্রুতারজের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী রাজিবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে জীবননগরের গুরুগাছি গ্রামের মাহাতাব সৈকত খান ও রওশন খান দু’ভাইয়ের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে প্রতিবেশি টিটো নামে এক যুবকের বিরোধ হয়। সকাল ১১ টার দিকে টিটোর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী তাদের দু’ভাইয়ের বাড়িতে হামলাকরে কুটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।